ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

লামায় বেপরোয়া মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেট বেপরোয়া, থানায় একাধিক মামলা

mot saiমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বান্দরবানের লামায় বেপরোয়া ভাবে বেড়েছে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা। গত ৬মাসে অর্ধশতাধিক মোটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ, সাংবাদিক, কোম্পানী, জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, এনজিও ও ব্যাক্তি মালিকানা মোটর সাইকেল চুরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কারোরই যেন কিছু করার নেই। অপরদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী চোরকে আটক করলেও সরকারী দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সুপারিশে অনেক সময় আইনী পদক্ষেপ নেয়া যায়না।

ভুক্তভোগীরা জানায়, বাড়ি থেকে গ্রিল ভেঙ্গে, বাজার ঘাট ও অফিস আদালতের সামনে থেকে সুযোগ বুঝে মোটর সাইকেল চুরি করে একটি সংঘবদ্ধ চোর সিন্ডিকেট। একের পর এক মোটর সাইকেল চুরি করে হজম করায় ও চুরির শাস্তি না হওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েছে চোরেরা। চোরের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে জানা যায়, একই সিন্ডিকেটটি ইয়াবা পাচারের সাথে জড়িত। এছাড়া গাড়ি চুরির এই সিন্ডিকেটে পেশাদার চোর, কলেজ স্টুডেন্ট, গাড়ি মেকানিক ও ছাত্র রাজনীতি করে এমন অনেকের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

কিছুদিন পূর্বে লামার পার্শ্ববর্তী বমু পশ্চিম পাড়া থেকে মোঃ আবু নামে একজনের বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল চুরি হয়। অনেক খোজাখুঁজির পরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সন্ধান মিলে গাড়িটির। পরে চকরিয়া উপজেলার সরকার দলীয় এক প্রভাবশালী নেতা বিচার করে দেয় “চোরের যেহেতু গাড়ি আনতে কষ্ট হয়েছে ও কিছু খরচ করতে হয়েছে আপনি ৩০ হাজার টাকা দিয়ে আপনার গাড়িটি নিয়ে যান”। এটা কি বিচার নাকি চোরকে আরো উৎসাহ দেয়া হচ্ছে একটু ভাবতে হবে সবার।

সম্প্রতি সময়ে লামা পৌরসভার কলেজগেট এলাকায় গাজী গ্রুপের অফিসের গ্রিল ভেঙ্গে ২টি ও গত ৬জুন সোমবার রাতে ৭নং ওয়ার্ড মধুঝিরি বাসা থেকে এক সাংবাদিকের মোটর সাইকেল চুরি হওয়ায় থানা মামলা করে ক্ষতিগ্রস্থরা। লামা থানা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মামলা ২টি আমলে নেয়।

এজাহার প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন, মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। আগামী ২মাসের মধ্যে লামাকে মোটর সাইকেল চোর মুক্ত করা হবে।

পাঠকের মতামত: